,

অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে

সময় ডেস্ক : ব্যস্ততা কর্মজীবনের অঙ্গ। কিন্তু তা যদি স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অনেক কারণে কর্মব্যস্ততা বাড়তে পারে। অনেকগুলো ছোট ছোট কাজ জমে গেলেও যেমন চাপ বেড়ে যায়, তেমনই একটা বা দুটো সময়সাপেক্ষ কাজও দিনভর ব্যস্ত রাখতে পারে আপনাকে। যে ধরনের ব্যস্ততাই হোক, ঠিকমতো ম্যানেজ করতে পারলে সময়মতো কাজ শেষ করা খুব কঠিন নয়। একসঙ্গে অনেক কাজ জমা হলে কয়েকটা টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
১. যা যা কাজ হাতে রয়েছে, তার একটা তালিকা তৈরি করুন। কাজের উন্নতি অনুযায়ী প্রতিনিয়ত সেই তালিকা আপডেট করতে থাকুন। সব কিছু যদি মনে রাখার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়বে।
২. বড় কাজ বা সময়সাপেক্ষ কাজগুলোকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করে নিন। প্রতিদিন বা কয়েক ঘণ্টার হিসেবে ছোট ছোট গোল সেট করুন। তারপর একটা করে শেষ করুন।
৩. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করুন। যে কাজ যত বেশি জটিল, সেটাকে অগ্রাধিকারের তালিকায় তত উপরে রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। সব কাজই যদি জটিল হয়, সেক্ষেত্রে ডেডলাইন অনুযায়ী বা ক্লায়েন্টের গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলোকে সাজিয়ে নিন
৪. ব্যক্তিগত ডেডলাইন রাখুন। অনেকসময় অজান্তেই আমরা কিছু কিছু কাজে অতিরিক্ত সময় নিয়ে ফেলি। তাই কোন কাজে কতটা সময় খরচ করছেন, তার একটা হিসাব রাখতে পারেন। এতে বুঝতে সুবিধা হবে যে, কোথায় বেশি নজর দিতে হবে।
৫. অনেকসময় পর পর মিটিং থাকলেও কাজের সময় পাওয়া যায় না। যদি ইন-পার্সন মিটিংয়ের প্রয়োজন না থাকে, সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল মিটিং করে যাতায়াতের সময় বাঁচাতে পারেন। অথবা, মিটিংয়ের বিষয়, সময়সীমা ইত্যাদি আগেভাগেই সকলকে পাঠিয়ে রাখুন, যাতে সময়ে সবটা শেষ করতে পরেন।
৬. আপনি মেশিন নন, সুতরাং আপনারও কাজ করার নির্দিষ্ট সীমা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই মাত্রাতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে নিলে ব্যস্ততা পিছু ছাড়বে না কোনওদিনই।
৭. মনে রাখবেন, একটানা ব্যস্ততা দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ব্যস্ততাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এতে ক্লান্তিও কমবে, আর কাজের প্রতি একঘেয়েমিও তৈরি হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর